item_group_id চারাগাছের কম্বো

৪টি দেশী নারিকেল গাছের স্পেশাল কম্বো

SKU: 404
PRICE: Tk

  • Brand:বৃক্ষরোপন

শক্তিশালী, সুস্বাদু এবং পুষ্টিগুণে ভরপুর দেশী নারিকেল গাছের চারা লাগিয়ে নিন! 🥥 এটি দীর্ঘস্থায়ী, স্বল্প পরিচর্যায় বেড়ে ওঠে এবং নিয়মিত ফল দেয়। বাড়ি, বাগান কিংবা কৃষি প্রকল্পের জন্য আদর্শ!

- +
Tk
হোয়াটসঅ্যাপ অর্ডার

চারাগাছের অর্ডার কনফার্ম করতে হলে শুধুমাত্র 150 টাকা অগ্রিম দিতে হবে। বাকি টাকা সম্পূর্ণ ক্যাশ অন ডেলিভারীতে গাছ হাতে পেয়ে পরিশোধ করবেন ইনশা আল্লাহ।

**দেশী নারিকেল গাছের চারা** সম্পর্কে বিস্তারিত পরিচর্যা গাইড নিচে দেওয়া হলো:


### ✅ ১. পরিচর্যার সম্পূর্ণ গাইড (Step-by-Step)


**কোন পরিবেশে চারাগাছ ভালো জন্মায়?**

- নারিকেল গাছ উষ্ণ এবং আর্দ্র পরিবেশ পছন্দ করে। গাছটি সাধারণত ২৫°C থেকে ৩৫°C তাপমাত্রায় ভালোভাবে বেড়ে ওঠে এবং উপকূলীয় অঞ্চলে এর বৃদ্ধি বেশি হয়। সঠিকভাবে বেড়ে ওঠার জন্য এটি পর্যাপ্ত সূর্যের আলো এবং পানি পছন্দ করে।


**ছাদবাগান**:

- **রোদ, বাতাস, ও টবের আকার অনুযায়ী যত্নের নিয়ম**: ছাদবাগানে নারিকেল গাছের জন্য ২০-২২ ইঞ্চি আকারের টব ব্যবহার করা যেতে পারে। টবের তলায় পানি নিষ্কাশনের জন্য গর্ত রাখতে হবে। গাছটি রোদ পছন্দ করে, তাই এটি এমন জায়গায় রাখুন যেখানে পর্যাপ্ত সূর্যের আলো আসে। গাছের শিকড় যাতে ভালোভাবে বাড়তে পারে, সেজন্য টবের আকার সঠিকভাবে নির্বাচন করুন।


**বারান্দা**:

- **ছায়া ও সরাসরি সূর্যের আলো কতটুকু দরকার?**: নারিকেল গাছ সরাসরি সূর্যের আলো পছন্দ করে, তবে প্রথম দিকে গাছটি কিছুটা ছায়ায় রাখুন। পরবর্তী সময়ে একদিনে কমপক্ষে ৪-৫ ঘণ্টা রোদ পেলে গাছের বৃদ্ধি ভালো হবে।


**উঠান**:

- **কীভাবে জায়গা প্রস্তুত করতে হবে এবং নিয়মিত যত্ন নিতে হবে**: জায়গা প্রস্তুত করার আগে মাটি ভালোভাবে খুঁড়ে নিন এবং যাতে পানি সহজে নিষ্কাশিত হয়, তার জন্য পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করুন। গাছটি মাটি থেকে সঠিক পুষ্টি পাওয়ার জন্য মাটির সাথে গোবর সার, কম্পোস্ট বা বালু মেশান।


**বাগান**:

- **মাটির ধরন, পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ও সার ব্যবস্থাপনা**: নারিকেল গাছের জন্য গভীর, বেলে দোআঁশ মাটি সবচেয়ে উপযুক্ত। মাটি যাতে দ্রুত পানি নিষ্কাশন করে, তার জন্য মাটিতে পর্যাপ্ত বালু মেশান। সার ব্যবস্থাপনায় প্রতি ৬ মাসে একবার গোবর বা জৈব সার প্রয়োগ করতে পারেন।


**খালি জমি**:

- **গাছের স্পেসিং, সার প্রয়োগ ও মাটি তৈরি**: নারিকেল গাছের জন্য অন্তত ১০-১২ ফুট জায়গা প্রয়োজন। সার প্রয়োগের জন্য প্রতিটি গাছের নিচে ৫ কেজি গোবর সার এবং ১০০ গ্রাম NPK সার দেওয়া যেতে পারে। গাছের শিকড় ভালোভাবে বাড়তে হলে মাটি গভীরভাবে প্রস্তুত করুন।


**স্কুল ও অন্যান্য জায়গা**:

- **শিশুদের জন্য নিরাপদভাবে পরিচর্যার কৌশল**: নারিকেল গাছের ফল ও পাতা যখন পেকে যায়, তখন সেগুলি খসতে পারে। শিশুদের নিরাপত্তার জন্য গাছের নিচে খেলাধুলা করতে দেওয়া উচিত নয়।


**কোথা থেকে শুরু করবেন? (গাছ লাগানো ও সেটআপ প্রসেস)**:

- **টবের মাধ্যমে শুরু**: প্রথমে নারিকেল গাছের চারা টবে লাগান। টবে পর্যাপ্ত মাটি, পানি এবং রোদ নিশ্চিত করুন। গাছের শিকড় যতটা সম্ভব বড় হওয়ার সুযোগ দিন।

- **খালি জমিতে শুরু**: একটি খালি জায়গা নির্বাচন করুন, মাটি প্রস্তুত করুন এবং গাছের জন্য সঠিক দূরত্বে রোপণ করুন। মাটি, সার, এবং পানি সব কিছু সঠিকভাবে দিতে হবে।


**চারাগাছের বৃদ্ধি ধাপে ধাপে কীভাবে নিশ্চিত করবেন?**

- প্রথম বছরেই গাছটি শিকড় ও মূল বৃদ্ধি করতে শুরু করবে। পরবর্তী সময়ে গাছটি ধীরে ধীরে বড় হবে এবং ৩-৪ বছরের মধ্যে নারিকেল ফলন শুরু হতে পারে। ধৈর্য ধরে গাছের প্রতি যত্ন নিন।


---


### ✅ ২. সার, পানি ও পুষ্টি ম্যানেজমেন্ট


**কখন, কী ধরনের সার (জৈব/রাসায়নিক) দেবেন?**

- **জৈব সার**: গোবর সার, কম্পোস্ট, পিট মস দেওয়া যেতে পারে।

- **রাসায়নিক সার**: NPK সার (১৫-১৫-১৫) অথবা অন্যান্য সুষম সার প্রতি ৩-৪ মাসে দিতে পারেন।


**কতটুকু পরিমাণ সার দেবেন?**

- প্রতি গাছের জন্য ৫ কেজি গোবর সার এবং ১০০ গ্রাম রাসায়নিক সার (NPK) ব্যবহার করুন।


**পানি কতটুকু ও কতবার দেবেন?**

- গরমের সময় দিনে একবার পানি দিন। শীতকালে পানি কম দিতে হবে, তবে মাটি যেন শুকিয়ে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখুন। বর্ষায় পানি দেয়ার পরিমাণ কমানো যেতে পারে।


**বিশেষ কোন সিজনে বাড়তি যত্ন প্রয়োজন কিনা?**

- **গ্রীষ্ম**: গরমে গাছের পানি বেশি প্রয়োজন।

- **বর্ষা**: বর্ষায় পানি দেওয়ার পরিমাণ কমাতে হবে।

- **শীত**: শীতকালে পানি কম দিয়ে গাছের শিকড় ভিজিয়ে রাখতে হবে।


---


### ✅ ৩. রোগ-বালাই প্রতিরোধ ও সমস্যা সমাধান


**গাছের পাতা হলুদ হলে কী করবেন?**

- পাতা হলুদ হওয়ার কারণ হতে পারে **পুষ্টির অভাব** অথবা **অতিরিক্ত পানি**। পুষ্টির অভাব হলে গোবর বা কম্পোস্ট সার প্রয়োগ করুন। অতিরিক্ত পানি দিলে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা ঠিকভাবে নিশ্চিত করুন।


**পোকামাকড় থেকে কীভাবে রক্ষা করবেন?**

- পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে গাছকে রক্ষা করতে **নিম তেল** বা **বিক্রিত কীটনাশক** ব্যবহার করতে পারেন। নিয়মিত গাছের পরিচর্যা ও পানি না জমতে দেওয়ার মাধ্যমে পোকামাকড় কমানো যায়।


**ছত্রাক ও অন্যান্য রোগ প্রতিরোধের ঘরোয়া উপায়**:

- ছত্রাকজনিত রোগের ক্ষেত্রে **বেকিং সোডা ও পানি মিশিয়ে স্প্রে** করা যেতে পারে। গাছের শিকড়ে জলাবদ্ধতা থেকে রক্ষা করুন এবং পরিষ্কার রাখুন।


---


### ✅ ৪. গাছের স্বাস্থ্য ধরে রাখার কৌশল


**নিয়মিত ছাঁটাই ও পরিচর্যা কিভাবে করবেন?**

- গাছের শুকনো পাতা, শাখা বা শিকড় নিয়মিত পরিষ্কার ও ছাঁটাই করুন। এর মাধ্যমে গাছের শ্বাস-প্রশ্বাস ঠিক থাকে এবং দ্রুত বৃদ্ধি পায়।


**কী করলে গাছ দ্রুত বৃদ্ধি পাবে?**

- নারিকেল গাছের জন্য পর্যাপ্ত রোদ, পানি, এবং সঠিক সার প্রদান করা উচিত। নিয়মিত পরিচর্যা এবং গাছের চারপাশ পরিষ্কার রাখলে দ্রুত বৃদ্ধি হয়।


**কোন ভুলগুলো করলে গাছ নষ্ট হয়ে যেতে পারে?**

- **অতিরিক্ত পানি**, **ভুল সার প্রয়োগ**, এবং **পোকামাকড়ের আক্রমণ** গাছের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। 


---


### ✅ ৫. সতর্কতা ও করণীয়


**কোন ভুল করলে গাছ মরে যেতে পারে?**

- **অতিরিক্ত পানি** দিলে শিকড়ে পচন শুরু হতে পারে এবং গাছ মরে যেতে পারে।

- **অতিরিক্ত সার** প্রয়োগের ফলে গাছের শিকড় পুড়ে যেতে পারে।


**কোন নিয়মগুলো অবশ্যই মানতে হবে?**

- **পানি নিষ্কাশন**: গাছের জন্য জলাবদ্ধতা থেকে রক্ষা পেতে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা ঠিকভাবে করতে হবে।

- **রোদ ও ছায়া**: নারিকেল গাছের জন্য সঠিক রোদ ও ছায়ার পরিমাণ নিশ্চিত করুন।